কনটেনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন : প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

9th July 2020 5:13 pm হুগলী
কনটেনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন : প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শেওড়াফুলি ) : বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ হল  ।হুগলি জেলায় ১৪ টি পুর এলাকা এবং ৭ টি গ্রামীন এলাকা কোটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহিত করা হয়েছে।এর মধ্যে শ্রীরামপুর থানার  রিষড়া পুর এলাকার দুটি জোন রয়েছে।  বৈদ্যবাটী পৌর এলাকায় তিনটে জোন রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে  শেওড়াফুলি সরকার পাড়া, এপি আড্ড লেন এলাকার দুটি রাস্তা  বন্ধ করে দেওয়া হয় । পাশাশাশি পোষ্টার লাগিয়ে  সচেতন করাও হচ্ছে।  দোকানপাট ,  যানবাহন বিকেল পাঁচটা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ করা হল । তবে অত্যাবশ্যকীয় যে সমস্ত পণ্য সেগুলি যাতে কারো পেতে অসুবিধা না হয় তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখা হবে।  বৈদ্যবাটী পৌরসভার প্রশাসক অরিন্দম গুইন বলেন কিছু অংশ কে় কনটেইনমেন্ট  জোন হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে  আমাদের পৌরসভার পক্ষ থেকে । সমস্ত রকম প্রতিষেধক ব্যবস্থা সেখানে নেওয়া  হচ্ছে ।  প্রতিনিয়ত সেইসব এলাকাগুলোতে স্যানিটেশনের কাজ চলবে।  সকাল থেকেই পৌরসভার পক্ষ থেকে ওইসব এলাকায় মাইকিং করে মানুষ যাতে আতঙ্কগ্রস্থ না হন এবং  সুস্থভাবে বাড়িতে থাকেন সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবং যদি কারো কোন রকম অসুবিধা হয় সঙ্গে সঙ্গে পুরসভাকে জানাতে বলা হয়েছে ।স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।